জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম – NID Card Download (একদম সহজে)
নতুন ভোটার হয়েছেন, এখন ও যারা স্মার্ট কার্ড পাননি? আপনারা এনআইডি কার্ড ডাউনলোড (nid card download) করতে চাচ্ছেন? জেনে নিন অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম।
এখানে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়মটি অনেক সহজ ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। পুরো বিষয়টাকে আমরা কয়েকটি ধাপে ভাগ করে প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আসলে NID card download করা অনেক সহজ একটি প্রক্রিয়া কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকে এই পদ্ধতি না জানার কারনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে না। চলুন তাহলে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
নতুন ভোটার হয়েছেন, কিন্তু এখন ও যারা স্মার্ট কার্ড পাননি? আপনারা চাইলে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তার আগে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হবে। আদৌ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি হয়েছে কিনা?
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করার সুবিধার্থে পুরো বিষয়টাকে আমরা কয়েকটি ধাপে বিভক্ত করেছি। নিচে এই ধাপগুলোকে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরে বর্ণনা করা হয়েছে।
জেনে নিন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়মঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ভিজিট
প্রথমে আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি এই লিংকটি সার্চ করে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারেন অথবা গুগল থেকে nid bd লিখে সার্চ করে প্রথম পাতায় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন।
রেজিস্টার বাটনে ক্লিক
নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনি অন্য ওয়েবপেইজে লগইন এবং রেজিস্টার নামে দুইটা অপশন দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনার এন আই ডি একাউন্ট রেজিস্টার করার জন্য রেজিস্টার / Register অপশনে ক্লিক করুন।
ভোটার স্লিপ নাম্বার এবং জন্মতারিখ
রেজিস্টার পেইজে আসার পরে আপনি দুটো ইনফরমেশন বক্স দেখতে পাবেন। একটি অপশনে আপনার ভোটার নাম্বার / স্লিপ নাম্বার এবং অন্যটিতে আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে।
এখানে আপনার ভোটার স্লিপ এ থাকা ৮/৯ সংখ্যার নাম্বার আর আপনার জন্ম তারিখ উলেখ করুন।
ক্যাপচা কোড এন্ট্রি
উপরের ক্যাপচা কোডে দেখানো সংখ্যা দেখে নিচের বক্সটিতে টাইপ করুন। এবার “সাবমিট” অপশন ক্লিক করুন।
ক্যাপচা কোডটি সতর্কতার সাথে পুরন করুন। ক্যাপচা কোড ম্যাচ না হলে আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন না।
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
একাউন্ট রেজিস্ট্রারের দ্বিতীয় ধাপ হলো আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করা। আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
তাই আপনার এনআইডি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। তারপর আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন।
এসএমএস ভেরিফিকেশন
ভোটার স্লিপ দিয়ে অনলাইন কপি ডাউনলোড করার তৃতীয় ধাপ হলো মোবাইল এসএমএস ভেরিফিকেশন। আপনি নতুন ভোটার নিবন্ধন করার সময় যে মোবাইল নাম্বার টি ব্যবহার করেছেন সেই মোবাইল নাম্বারটি এখানে দেখতে পাবেন।
আপনি চাইলে নাম্বার পরিবর্তন করুন /change number অপশনে ক্লিক করে অন্য মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে পারবেন।\
যদি আপনার মোবাইল নাম্বার সঠিক থাকে তাহলে “ বার্তা পাঠান” অপশনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার মোবাইল নাম্বারে যাওয়া এসএমএস থেকে কোডটি এন্ট্রি করে এসএমএস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।
ফেইস ভেরিফিকেশন
এনআইডি একাউন্ট রেজিস্টার এর চতুর্থ আর বিরক্তিকর ধাপ হল ফেস ভেরিফিকেশন। এটা ছাড়া কোন ভাবেই আপনি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না।
এখানে ফেইস ভেরিফিকেশন করার জন্য পেইজে একটি QR Code সম্বলিত ছবি দেখতে পাবেন। এই QR কোডটি স্ক্যান করার জন্য Google Play Store থেকে NID wallet অ্যাপটি ডাউনলোড করে install করুন। এরপর পেজের QR কোডটি স্ক্যান করুন এবং দেখানো নিয়ম অনুযায়ী আপনার চেহারা স্ক্যান করুন।
এই স্টেপ সম্পন্ন করার জন্য আপনি অন্য কোন ডিভাইস দিয়ে করতে পারেন অথবা আপনি ব্রাউজারকে মিনিমাইজ করে NID Wallet অ্যাপ ওপেন করে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।
ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড সেট
অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার এর সর্বশেষ ধাপ হল ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড সেট করা। আপনার ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে আপনাকে একটি ছয় সংখ্যার পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
পরবর্তীতে আপনার অ্যাকাউন্ট এ লগইন করার জন্য অথবা পরবর্তীতে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এই পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড
অ্যাকাউন্ট এ পাসওয়ার্ড সেট হয়ে গেলে আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন। আপনার অ্যাকাউন্ট এ লগ-ইন সম্পন্ন হলে আপনার বিস্তারিত প্রোফাইল ওপেন হবে। সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি এবং আপনার বিস্তারিত ভোটার তথ্য দেখতে পাবেন।
এখানে নিচের দিকে ডাউনলোড নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন। এবার ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড হয়ে যাবে।
কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ
মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করা যায়?
জি হ্যাঁ। মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করা যায়। আপনি মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করতে চাইলে ভিজিট করুন ldtax.gov.bd ওয়েব সাইটে। এরপরে নাগরিক কর্নার থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং একটি মোবাইল নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনুসন্ধান করুন।
তথ্য সঠিক থাকলে আপনার মোবাইলে স্ক্রিনে ভোটার আইডি তথ্য দেখাবে।
ভোটার স্লিপ দিয়ে অনলাইন কপি বের করা যায়?
আপনি চাইলে ভোটার স্লিপ দিয়ে অনলাইন কপি বের করতে পারবেন। উপরের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ধাপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি বের করতে পারবেন।
এ বিষয়ে আরও পরুনঃ ভোটার স্লিপ দিয়ে অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে বের করব?
আর্টিকেলে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলে দেখানো পদ্বতি অনুসরণ করে আপনি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর কি?
জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর হল একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ভোটার নিবন্ধন নাম্বার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক একটি জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করে। যেখানে প্রতেক্যের জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ভিন্ন ভিন্ন হয়।
পরিশেষ
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
পুরো পোস্ট জুড়ে আমরা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা উপরোক্ত পোস্টের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।