১ মিনিটে জেনে নিন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম – NID Correction
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান? জেনে নিন অনলাইনে স্মার্ট কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সহ প্রয়োজনীয় সকল ধাপের বর্ণনা।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কোন তথ্য পরিবর্তন করতে হলে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য পরিবর্তন ফরম পুরন করে আবেদন করতে হবে।
যদি আপনি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদনের নিয়ম না জেনে থাকেন, তবে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এখানে আমরা ভোটার আইডি কার্ডের নাম, পিতা-মাতার নাম অথবা ঠিকানা সংশোধন করার নিয়ম ও এই বিষয় নিয়ে বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের সহজ সমাধান তুলে ধরেছি।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
অনেক ক্ষেত্রে ভুলবশত ভোটার আইডি কার্ডে আপনার অথবা আপনার পিতা-মাতার নাম অথবা ঠিকানা ভুল হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র টি কোথাও ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করে নাম সংশোধন ফি পরিশোধ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা ও কি কি ডকুমেন্ট লাগে? জেনে নিন অনলাইনে স্মার্ট কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে?
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, মা-বাবার এনআইডি কার্ডের কপি, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স, অন্যান্য ডকুমেন্ট।
এগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ২ টি প্রমাণপত্র বা ডকুমেন্ট আপলোড করা উচিত।
অনলাইনে অনলাইনে স্মার্ট কার্ড সংশোধন করার একটি সহজ প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
অনলাইনে স্মার্ট কার্ড সংশোধন
আপনাদের মধ্যে অনেকেই নতুন আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সময় অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়েছেন। তবে আপনি যদি আগে অ্যাকাউন্ট তৈরি না করে থাকেন, তাহলে এই ধাপগুলো অনুসরণ করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
- প্রথমত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করুন
- আপনার ভোটার আইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ টাইপ করুন।
- ক্যপচা কোডটি পুরন করুন।
- এরপর রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করুন।
- এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও ঠিকানা দিয়ে ফরমটি ফিল আপ করুন।
- এখন একটি সচল ফোন নাম্বার দিয়ে এস এম এস ভেরিফিকেশন করুন।
- NID Wallet app এর মাধ্যমে আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।
- আপনার একাউন্ট প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন একটি ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড সেট করুন।
যাহোক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে এবার আসল কাজ শুরু করা যাক।
- পুনরায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- এখানে আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
- এরপরে আপনার প্রোফাইলে গিয়ে এডিট অপশনে ক্লিক করুন।
- কোন পপ-আপ অথবা ওয়ার্নিং ম্যাসেজ দেখালে “ বহাল “ বাটনে ক্লিক করুন।
- এডিট প্রফাইল অপশন থেকে ব্যক্তিগত/ অন্যান্য তথ্য/ ঠিকানা এই তিনটা অপশন থেকে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় অপশনটি বাছাই করুন।
- এখন আপনার স্মার্ট কার্ডের যে তথ্য পরিবর্তন করার তা পরিবর্তন করুন এবং বহাল অপশনে ক্লিক করুন।
- এবার আপনার স্মার্ট কার্ড সংশোধন করার জন্য ফি পরিশোধ করতে হবে। (বিকাশ, নগদ, কিংবা রকেট এর মাধ্যমে আপনি ফি পরিশোধ করতে পারবেন )
- সর্বশেষে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (সার্টিফিকেট, জন্ম সনদ, জিডি কপি) আপলোড করতে হবে।
কিছু প্রশ্নের উত্তর
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগবে?
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে ২৩০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হয়। অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা ফি পরিশোধ করতে হয়। নাম ও অন্যান্য তথ্য একসাথে সংশোধন করতে চাইলে ৩৪৫ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
তবে দ্বিতীয় বার সংশোধনীর জন্য প্রতিবারে আইডি কার্ড রি-ইস্যু করার জন্য ৫৭৫ টাকা ফি হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?
উত্তরঃ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ক্যাটেগরিভেদে ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবস সময় লাগে। ”ক” ক্যাটাগরির সংশোধনে ৭ দিন, ”খ” ক্যাটাগরির সংশোধনে ১৫ দিন, “গ” ক্যাটাগরির সংশোধনে ৩০ দিন আর “ঘ” ক্যাটাগরির সংশোধনে প্রায় ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে।